ঝালকাঠি প্রতিনিধি ॥ ঝালকাঠির বাসন্ডায় নেছারাবাদ দরবার শরীফে শেষ হলো দুইদিন ব্যাপী বার্ষিক ঈছালে সওয়াব ও মাহফিল। ২৪ ফেব্রুয়ারী ফজরের নামাজের পর জিকির, বয়ান এবং আখেরী মোনাজাতের মধ্যে দিয়ে শেষ হয় এ মাহফিল। ২২ ফেব্রুয়ারী সোমবার বাদ আছর থেকে শুরু হয় মাহফিলের আনুষ্ঠানিকতা। প্রতি বছরের ন্যায় এবারও দেশের ৬৪টি জেলা থেকে আগত লাখো ভক্ত-আশেকের পদচারনায় মূখরিত ছিলো গোটা নেছারাবাদ এলাকা। আখেরী মোনাজাতে এবার বিশেষ দোয়া করা হয় তাদের বিদেহী আত্মার জন্য যারা করোনা মহামারীতে ইন্তেকাল করেছেন। এবং দোয়া করা হয় এই মহামারী থেকে গোটা বিশ্বকে মুক্তির জন্য। মোনাজাত পরিচালনা করেন মাহফিলের প্রধান অতিথি হযরত কায়েদ ছাহেব হুজুর (রহ:) এর একমাত্র ছাহেবজাদা আমীরুল মুছলিহীন হযরত মাওলানা মুহম্মদ খলীলুর রহমান নেছারাবাদী হুজুর। এ বছর মাহ্ফিলে নসীহত পেশ করেছেন, শায়খুল মুফাস্সের হযরত মাওলানা মুহাম্মদ ইদ্রিছ আলী, প্রখ্যাত মুফাস্সের ড. মাওলানা আবু বকর সিদ্দীক, খতীব ও মুফতী হযরত মাওলানা মুহাম্মদ আবদুল কাদির আল-মাদানী, শায়খুল হাদীস মাওলানা মুহাম্মদ মনিরুজ্জামানসহ দেশবরেণ্য অনেক মুহাক্কেক ওলামায়ে কেরাম। নেছারাবাদী হুজুর তার বয়ানে বলেন, লন, ‘ন্যায় ও ধর্মের প্রতিষ্ঠা এবং অন্যায় ও অধর্মের মূলোচ্ছেদ-পূর্বক মানুষকে তার মানবীয় গুণাবলী অর্জনের দীক্ষা দিতেই পীর-মাশায়েখ-ওলামায়ে কেরামকে নবীদের উত্তরসূরী হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। সেই ঘোষণা অনুযায়ী কুফরীর সমুদ্র-মাঝে জেগে ওঠা তৌহীদের দ্বীপ বাংলাদেশকে সর্বপ্রকার অন্যায়-অবিচার, সুদ-ঘুষ, প্রতারণা-ভণ্ডামি, ব্যাভিচার-বেপর্দেগী ইত্যাদি অমানবিকতা থেকে মুক্ত করে সোনার মদীনার নমুনায় গড়ে তোলা ওলামায়ে কেরামের অন্যতম দায়িত্ব এবং সেই ঘোষণা অনুযায়ী ব্যক্তিগত, পারিবারিক, আর্থ-সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় জীবনে ইসলাম প্রতিষ্ঠিত হলেই কেবল মুক্তি, উন্নতি ও প্রকৃত শান্তি লাভ হতে পারে’।
Leave a Reply